পোস্টগুলি

আল্লাহকে ভালোবাসা ও গুনাহ থেকে দূরে থাকা

 আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ তা’আলার লাখো কোটি শোকরিয়া তিনি আমাদেরকে মুসলমান বানিয়েছেন।ইমানের মত দৌলত দান করেছেন।একজন ইমানদার ব্যক্তি সবচেয়ে বেশি আল্লাহকেই ভালোবাসে।সে আল্লাহর হুকুম মত চলার চেষ্টা করে।আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন এমন কাজ করা থেকে বিরত থাকে। আল্লাহ তা'আলা বলেন, وَالَّذِيْنَ آمَنُوْا أَشَدُّ حُبًّا لِّلّٰهِ “যারা ইমানদার তারা সবচেয়ে বেশি আল্লাহকেই ভালোবাসে”(সূরা বাকারা আয়াত-১৬৫ ) আমরা মা-বাবাকে ভালোবাসি।স্ত্রী-সন্তানকে ভালোবাসি,ভাই-বোনকে ভালোবাসি।এজন্য তাদের আবদার পূরণ করি।মা-বাবা কোন আদেশ দিলে পালন করি।স্ত্রী-সন্তানের প্রয়োজন পূরণের চেষ্টা করি।ভাই-বোন বিপদে পড়লে সাহায্যে এগিয়ে আসি।কারণ আমরা তাদের ভালোবাসি। আমার ভাই,যে আল্লাহ আমাদেরকে সৃষ্টি করলেন,আমাকে ছোট থেকে বড় করলেন,আমাকে বুঝ দান করলেন,আমাকে খাওয়াচ্ছেন,পরাচ্ছেন,আমার সবকিছুর ব্যবস্থা করছেন শুধু সে আল্লাহকেই আমি ভুলে থাকি।আল্লাহকে যদি ভালোবাসতাম তাহলে আমি আযান শুনেও বাজারে বসে থাকতে পারতাম না।আমি গল্পগুজবে ব্যস্ত থাকতে পারতাম না।আল্লাহকে যদি আমি ভালোবাসতাম তাহলে ফজরের সময় নামায না পড়ে শুয়ে থাকতে পারতাম না। আমার ভাই,আমার বিপদে-আ

তাবলীগের কাজ সমূহ পিডিএফ ফাইল

 এই পিডিএফ এ আছে তাবলীগের কাজ সমূহ ১।তারুফী বয়ান ২।গাশতের আদব ৩।ইমান ও একীনের কথা ৪।ছয় নম্বরের বয়ান ৫।মুতাকাল্লিমের দাওয়াত(আছর নামাযের পর গাশতে বের হয়ে যা বলবো) ৬।ফজর নামাযের পরে গাশতে বের হয়ে যা বলবো ৭।মাশওয়ারা,তালীম,১২ কাজ,ইজতেমায়ী আমল,গাশত পাঁচ প্রকার ডাউনলোড লিংক

ফজরের নামাযের পর গাশতে বের হয়ে যা বলবো

ছবি
  ★ফজরের নামাযের পর গাশতে বের হয়ে যা বলবো তার কিছু নমুনা।((খুসুসী দাওয়াতের ক্ষেত্রে ব্যক্তির দিকে খেয়াল রাখবো।যে নামায পড়েনা তাকে ইমান এবং নামাযের দাওয়াত দিবো।যে নামায পড়ে তাকে তিনদিন'চিল্লায় বের হওয়ার দাওয়াত দিবো) ১ম নমুনা: প্রথমে সালাম দিয়ে কুশল বিনিময় করবো।তারপর বলবো, আলহামদুলিল্লাহ ভাই,আল্লাহ তাআলার শোকরিয়া তিনি আমাদেরকে ঘুম থেকে জাগ্রত করেছেন।আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ ছিলো যারা ঘুম থেকে আর জাগেনি।ঘুমের মধ্যেই এই দুনিয়া ছেড়ে চলে গিয়েছে।আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে দুনিয়াতে আমল করার জন্য আরো কিছু সময় দিলেন।আলহামদুলিল্লাহ। ভাই আমরা মুসলমান।কালেমা পড়েছি।লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ। আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নাই।হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল। এই কালেমার এত দাম যে এই কালেমা যে অন্তর থেকে পড়বে এবং এ কালেমাকে বিশ্বাস করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।হাদীসে এসেছে, যার শেষ কথা হবে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। ভাই মৃত্যুর সময় যেন এই কালেমা মুখে চলে আসে এ জন্য এ কালেমা বেশি বেশি পড়তে হবে। ভাই,ইমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল হল

মুতাকাল্লিমের দাওয়াত (আছর বাদ)

ছবি
  মুতাকাল্লিমের দাওয়াত আছর নামাযের পর উমুমী গাশতে(কিছু নমুনা) ১ম নমুনা প্রথমে সালাম দিয়ে কুশল বিনিময় করবো। তারপর বলবো, আলহামদুলিল্লাহ,ভাই, আমরা মুসলমান।আমরা কালিমা পড়েছি।লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ।আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নাই,হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল। ভাই,আল্লাহ আসমানের মালিক।আল্লাহ যমীনের মালিক।আল্লাহ সূর্যের মালিক।আল্লাহ চন্দ্রের মালিক।আল্লাহ সুস্থতার মালিক।আল্লাহ অসুস্থতার মালিক।আল্লাহ রিযিকের মালিক।আল্লাহ হায়াতের মালিক।আল্লাহ মউতের মালিক।অর্থাৎ সবকিছুর মালিক হলেন আল্লাহ তাআলা।সেই আল্লাহর হুকুম মানা এবং নবীর তরীকায় চলা।দুনিয়াতেও শান্তি,আখিরাতেও শান্তি।এ শান্তি আমাদের এবং আপনাদের মাঝে এবং সারাবিশ্বের মাঝে কিভাবে আসে এর জন্য এক জবরদস্ত মেহনতের প্রয়োজন।এ মেহনত সম্পর্কে মসজিদে জরুরী কথা হচ্ছে।আমরা আপনাকে নগদ নেয়ার জন্য আসছি।যদি যেতেন আল্লাহ খুশি হতেন। (যদি যেতে রাজী না হয় তাহলে মাগরিবের সময় আসার কথা বলবো। উমুমি গাশতের দাওয়াত বিভিন্ন ভাবে দেয়া যায়।মূল বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।(তাওহীদ রেসালাত ও আখিরাত এ তিন বিষয়ে) ২য় নমুনা

দাওয়াত ও তাবলীগের গুরুত্ব -১ম পর্ব

ছবি
  দাওয়াত ও তাবলীগের গুরুত্ব -১ম পর্ব আয়াত আল্লাহ তাআলা এই উম্মতকে শ্রেষ্ঠ উম্মত করেছেন।সৎকাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ এই উম্মতের উপর বিশেষ দায়িত্ব।কোন নবী আসবেন না।আমাদের নবী সর্বশেষ নবী। আল্লাহ তাআলা সূরা আহযাব এর ৪০ নং আয়াতে বলেন, مَا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِنْ رِجَالِكُمْ وَلَٰكِنْ رَسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ আবু দাউদের ৪২৫২ নং হাদীসে এসেছে, হুজুর সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, أنا خاتم النبيين لا نبي بعدي ولا تزال طائفة من أمتي على الحق এই দাওয়াতের জিম্মাদারি এটা আমাদের সকলের উপর। ১।আল্লাহ তাআলা সূরা আলে ইমরানের ১১০ আয়াতে বলেন, كُنْتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ ২।সূরা আলে ইমরানের ১০৪ নং আয়াতে বলেন, وَلْتَكُنْ مِنْكُمْ أُمَّةٌ يَدْعُونَ إِلَى الْخَيْرِ وَيَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ ۚ وَأُولَٰئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ ৩।সূরা তাহ রীমের ৬ নং আয়াতে বলেন, يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا قُوا أَنْفُسَكُمْ وَأَهْلِيكُمْ نَارًا وَقُودُهَا النَّاسُ وَالْحِجَارَةُ عَلَيْهَا

নামায ১ম পর্ব

ছবি
  নামায ১ম পর্ব নামায ফরয।নামাযের গুরুত্ব। আয়াত: ১-আল্লাহ তাআলা সূরা বাকারার ৪৩ নং আয়াতে বলেন, وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ ২-সূরা বাকারার ১১০ নং আয়াতে বলেন, وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ ৩-সূরা নিসার ১০৩ নং আয়াতে বলেন, أَقِيمُوا الصَّلَاةَ ۚ إِنَّ الصَّلَاةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَوْقُوتًا ৪-সূরা হুদের ১১৪ নং আয়াতে বলেন, أَقِمِ الصَّلَاةَ طَرَفَيِ النَّهَارِ وَزُلَفًا مِنَ اللَّيْلِ ۚ  ৫-সূরা ইবরাহীমের ৩১ নং আয়াতে বলেন, قُلْ لِعِبَادِيَ الَّذِينَ آمَنُوا يُقِيمُوا الصَّلَاةَ ৬-সূরা ত্বহার ১৪ নং আয়াতে বলেন, إِنَّنِي أَنَا اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا أَنَا فَاعْبُدْنِي وَأَقِمِ الصَّلَاةَ لِذِكْرِي ৭-সূরা বাকারার ২৩৮ নং আয়াতে বলেন, حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلَاةِ الْوُسْطَىٰ وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ *হাদীসঃ বুখারীর ৮ নং হাদীসে এসেছে, 1...عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ((بُنِيَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسٍ شَهَادَةِ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَإِقَامِ الصَّلاَ

ইমান পর্ব :১

ছবি
  ইমান ১ম পর্ব: আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নাই।তিনিই একমাত্র মাবুদ। ১।আল্লাহ তাআলা সূরা ত্বহা ১৪ নং আয়াতে বলেন, إِنَّنِي أَنَا اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا أَنَا فَاعْبُدْنِي ২।আল্লাহ তাআলা সূরা বাকারার ১৬৩ নং আয়াতে বলেন, وَإِلَٰهُكُمْ إِلَٰهٌ وَاحِدٌ ۖ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الرَّحْمَٰنُ الرَّحِيمُ ৩।আল্লাহ তাআলা সূরা আলে ইমরানের ১৮ নং আয়াতে বলেন, شَهِدَ اللَّهُ أَنَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ وَالْمَلَائِكَةُ وَأُولُو الْعِلْمِ قَائِمًا بِالْقِسْطِ ۚ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ আল্লাহর উপর আমরা ইমান আনতে পারছি এর চেয়ে বড় সৌভাগ্য আর কি হতে পারে।একমাত্র ইমানদারগণই জান্নাতে যাবে। ৪।মুসনাদে আহমাদ এর ১৯৪৮৬ নং হাদীসে এসেছে, عن أبي موسى الأشعري رضي الله عنه قال:قال رسول الله صلى الله عليه و سلم: أَبْشِرُوْا ، وَ بَشِّرُوْا مَنْ وَرَاءَكُمْ ، أَنَّهُ مَنْ شَهِدَ أَنْ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ صَادِقًا بِهَا دَخَلَ الْجَنَّةَ ৫।মুসলিমের ২৯ নং হাদীসে এসেছে, عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ  قال:قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: ((من شهد أن لا إله إلا الله وأن محمدا رسول الله حرم

আল্লাহর পরিচয়

ছবি
  আল্লাহর পরিচয় মুহতারাম হাজীরীন, আল্লাহ তাআ'লা আমাদেরকে সৃষ্টি করে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন।একসময় আমাদের কোন অস্তিত্ব ছিলনা।আজ থেকে ১০০ বছর আগে এ দুনিয়ায় আমার নাম গন্ধ ছিলোনা।।আল্লাহ আমাকে সৃষ্টি করে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন।আবার একসময় দুনিয়ায় আমি থাকবোনা।দুনিয়া ছেড়ে চলে যাবো।তো দুনিয়াতে মানুষকে কেন পাঠানো হয়েছে? কি উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে তা জানানোর  জন্য আল্লাহ যুগে যুগে নবী রাসূল পাঠিয়েছেন।নবী রাসূল গণ এসে মানুষের সামনে আল্লাহর পরিচয় তুলে ধরেছেন।কিভাবে জীবনযাপন করলে একজন মানুষ দুনিয়া এবং আখিরাতে সফলতা লাভ করবে নবী রাসূলগণ এ বিষয়ে মানুষকে অবগত করেছেন। এভাবে পর্যায়ক্রমে প্রায় লক্ষ্যাধিক নবী রাসূলকে আল্লাহ তাআ'লা দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন।মানুষ যখনই আল্লাহকে ভুলে গিয়ে বিভিন্ন বস্তুর পূজা শুরু করেছে,আখিরাতকে ভুলে দুনিয়ামুখী হয়ে গিয়েছে তখনই আল্লাহ তাআ'লা মানুষের হিদায়েতের জন্য নবী রাসূল পাঠিয়েছেন।আল্লাহ তাআ'লা হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কিয়ামত পর্যন্ত সকল মানুষের নবী করে পাঠিয়েছেন।তিনি সর্বশেষ নবী।তিনি আমাদের নবী।হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় জন্

ইমান একীনের কথা

ছবি
  ইমান একীনের কথা মেরে ভাই,আল্লাহ হলেন খালিক(خاَلِقٌ)।আল্লাহ তাআলা সবকিছু সৃষ্টি করেছেন।আল্লাহ আসমান সৃষ্টি করেছেন।আল্লাহ যমীন সৃষ্টি করেছেন।আল্লাহ সূর্য সৃষ্টি করেছেন।আল্লাহ চন্দ্র সৃষ্টি করেছেন।আল্লাহ নক্ষত্র সৃষ্টি করেছেন।আল্লাহ মেঘ সৃষ্টি করেছেন।আল্লাহ ফেরেশতা সৃষ্টি করেছেন।আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছেন।আল্লাহ জীন সৃষ্টি করেছেন।আল্লাহ পশু-পাখি সৃষ্টি করেছেন।আল্লাহ সমুদ্র সৃষ্টি করেছেন।আল্লাহ পাহাড়-পর্বত সৃষ্টি করেছেন।আল্লাহ সব কিছু সৃষ্টি করেছেন। মেরে ভাই,আল্লাহ আমাদের দুটি চোখ দান করেছেন।এই চোখ দিয়ে আমরা দেখি।আল্লাহ আমাদের দুটি কান দিয়েছেন যা দ্বারা আমরা শুনি।আল্লাহ আমাদেরকে একটি জিহবা দিয়েছেন যা দ্বারা আমরা কথা বলি।আল্লাহ আমাদেরকে বুদ্ধি দিয়েছেন যা দ্বারা আমরা দুনিয়ার ভালো মন্দ পার্থক্য করতে পারি।আল্লাহ আমাদেরকে দুটি হাত দিয়েছেন যা দ্বারা আমরা খাই।দুনিয়ার কাজকর্ম করি।আল্লাহ আমাদেরকে দুটি পা দিয়েছেন যা দ্বারা আমরা চলাফেরা করি। মেরে ভাই, আল্লাহ আমাদের প্রত্যেককে একেক রকম আকৃতি দিয়ে বানিয়েছেন।কারো চেহারা কারো সাথে মিলেনা।কারো কন্ঠ কারো সঙ্গে মিলেনা।আমাদের হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুলিকে আল্লাহ

গাশতের আদব

ছবি
  *গাশতের আদব* গাশতের আদব আলহামদুলিল্লাহ,ভাই,দুনিয়ার সমস্ত মানুষের সুখ-শান্তি,সফলতা,ইজ্জত-সম্মান আল্লাহ পাক রেখেছেন একমাত্র দীনের ভিতরে।দীন আল্লাহ তাআলার কাছে অতি মাহবুব,অতি প্রিয়।দীন হলো আল্লাহর হুকুম এবং নবীর তরীকা।আর এই দীনকে দুনিয়াতে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আল্লাহ তাআলা যুগে যুগে লক্ষাধিক নবী রাসূল পাঠিয়েছেন। সমস্ত নবী-রাসূল দুনিয়াতে এসে একই কালিমার দাওয়াত দিয়েছেন, হে লোকসকল, তোমরা বলো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ; আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নাই। যারা এই কালিমার দাওয়াত গ্রহণ করেছে তারা কামিয়াব হয়েছেন আর যারা গ্রহণ করেনি তারা নাকামিয়াব, অপদস্থ এবং ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। সমস্ত নবী-রাসূল এই দাওয়াত দিতে গিয়ে অনেক কষ্ট মুজাহাদা করেছেন।সব চেয়ে বেশি কষ্ট মুজাহাদা করেছেন আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।নবীজি বলেন,আল্লাহর রাস্তায় আমাকে যে পরিমাণ ভয় দেখানো হয়েছে তা অন্য কাউকে দেখানো হয়নি।আল্লাহর রাস্তায় আমাকে যে পরিমান কষ্ট দেওয়া হয়েছে তা অন্য কাউকে দেওয়া হয়নি। আল্লাহ তাআলা যখন হযরত ঈসা আলাইহিস সালামকে আসমানে উঠিয়ে নেন এবং আমাদের নবী নবুয়ত পাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রায় ৬০০

তাবলীগের কাজ সমূহ (মাশওয়ারা,তালীম,১২ কাজ,ইজতেমায়ী আমল,গাশত)

ছবি
  ➤➤➤মাশওয়ারাঃ মাশওয়ারা হলো আল্লাহর হকুম,নবীদের সুন্নাত,মুমিনের সিফাত মাশওয়ারার উদ্দেশ্যঃ সমস্ত দুনিয়ায় দীন জিন্দার ফিকির করা। মাশওয়ারার বিষয় বস্তু তিনটি:- ১. জামাতের প্রত্যেকটি সাথী কিভাবে ইমানওয়ালা, আমলওয়ালা, ইখলাসওয়ালা ও দ্বীনের দায়ী বনতে পারে তার ফিকির করা। ২. কিভাবে মেহনত করলে মহল্লার প্রত্যেকটি ঘর থেকে একএক জন বালেগ পুরুষ নগদ আল্লাহর রাস্তায় বের হতে পারে, বা একটি নগদ জামাত আল্লাহর রাস্তায় বের হতে পারে এ ব্যাপারে চিন্তা ফিকির করা। ৩.মসজিদে যদি পাঁচ কাজ চালু না থাকে তাহলে চালু করা, আর যদি চালু থাকে তাহলে মজবুত করা, আর যদি মজবুত থাকে তাহলে তা থেকে ফায়দা উঠানোর চিন্তা ফিকির করা। উক্ত তিনটি বিষয় কিভাবে বাস্তবায়ন হয় এ ব্যাপারে আমীর সাহেব সকল সাথীর থেকে খেয়াল নিবে। মাশওয়ারার আদব: ১।লোক কম হলে গোলাকারে বসবে, আর বেশী হলে মজমা আকারে বসবে। ২।একজন আমীর নিযুক্ত করবে, চলতি জামাতে তো আমীর নিযুক্তই আছে। ৩।আমীর আকেল, বালেগ ও পুরুষ হওয়া। ৪।আমীর সাহেবের ডান দিক থেকে খেয়াল বা রায় নেওয়া। ৫।দ্বীনের ফায়দার দিকে লক্ষ রেখে খেয়াল দেওয়া। ৬।নিজের রায় নিজে পেশ করা। ৭।অন্যের রায় না কাটা।

তারুফী বয়ান

ছবি
তারুফী বয়ান ভাই,আল্লাহ তাআলার নিকট সবচেয়ে প্রিয় হলো দীন।দীন হলো আল্লাহর হুকুম এবং নবীর তরীকা।যতদিন এই পৃথিবীতে দীন থাকবে আল্লাহ তাআলা আসমানকে ঠিক রাখবেন,যমীনকে ঠিক রাখবেন।যখন পৃথিবীতে দীন থাকবেনা তখন আল্লাহ তাআলা এই পৃথিবী ধ্বংস করে দিবেন। ভাই,আমরা প্রত্যেকে সফলতা চাই।ব্যবসায়ী চাই সে যেন সফলকাম হয়ে যায়।ডাক্তার চাই সে যেন সফলকাম হয়ে যায়।ইঞ্জিনিয়ার চাই সে যেন সফলকাম হয়ে যায়।জমির মালিক চাই সে যেন সফলকাম হয়ে যায়।বাগানের মালিক চাই সে যেন সফলকাম হয়ে যায়।প্রতিটা ব্যক্তি চাই সে যেন সফলকাম হয়ে যায়। ভাই,আল্লাহ তাআলা সফলতা রেখেছেন একমাত্র দীনের মধ্যে।যারা দীন মানবে,দীন অনুযায়ী নিজের জীবনকে পরিচালনা করবে তারা দুনিয়াতে সফলকাম হবেন আখিরাতেও সফলকাম হবেন।যারা দীন মানবেনা,দীন অনুযায়ী চলবেনা তারা দুনিয়াতেও অশান্তিতে ভুগবেন,আখিরাতেও আযাবের মধ্যে পাকড়াও হবেন। মানুষ যখনই দীন থেকে গাফেল হয়ে গেছে, আখিরাতকে ভুলে দুনিয়ামুখী হয়েছে,একমাত্র আল্লাহ তাআলার উপর ভরসাকে ছেড়ে সৃষ্ট বস্তুর উপর ভরসা করেছে তখনই আল্লাহপাক মানুষের কামিয়াবী ও নাজাতের জন্য পর্যায়ক্রমে লক্ষাধিক নবী রাসূলকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। প্রত্যেক নবী রাসূ

(ফুল) কুরআন ও হাদীসের আলোকে তাবলীগের ছয় নম্বর

ছবি
➤কুরআন ও হাদীসের আলোকে তাবলীগের ৬ নম্বর (যেসব ভায়েরা তাবলীগে প্রথম গেছেন।কখনো বয়ান করেননি।কি বয়ান করবেন খুঁজে পাননা।তারা এটি সংগ্রহ করে রাখতে পারেন।) মেরে মুহতারাম দোস্ত বুজুর্গ, হযরত সাহাবায়ে কেরাম হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সোহবতে থেকে অনেক গুণ অর্জন করেছিলেন।তাঁদের মধ্যে ছিলো ইমানের গুণ।তারা খাঁটি ইমানদার ছিলেন।ইমানের উপর তারা এমন মেহনত করেছেন যে তাদের দিল থেকে দুনিয়া বের হয়ে গিয়েছিলো।আল্লাহ তাআলাই যে সবকিছু করেন,আল্লাহ তাআ'লার থেকেই যে সবকিছু হয় একথার একীন একশ ভাগের একশ ভাগ তাঁদের অন্তরে বসে গিয়েছিলো।এজন্য তাঁরা কখনো দুনিয়ার কারো কাছে মাথা নত করেননি।তাঁরা শুধুমাত্র আল্লাহ তাআ'লাকেই ভয় করতেন।দুনিয়ার কাউকেই ভয় করতেন না।তাঁরা একমাত্র আল্লাহ তাআ'লার উপরই ভরসা করতেন।চাকরী-বাকরী,ব্যবসা-বাণিজ্য, ক্ষেত-খামার,টাকা-পয়সার উপর তাঁদের ভরসা ছিলোনা। মেরে ভাই আমরাও সেই কালিমা পড়েছি যে, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ। আল্লাহ তা’আলা ছাড়া কোন মাবুদ নাই, হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তাআলার রাসুল। কিন্তু আমাদের দিলের মধ্যে এখনোও এ কালেমার